back to top
বৃহস্পতিবার, মে ২৯, ২০২৫
HomeInspirationWonder Womanএক ব্যতিক্রমী তারুণ্যের প্রতিচ্ছবি: ডঃ তাসনিম জারা

এক ব্যতিক্রমী তারুণ্যের প্রতিচ্ছবি: ডঃ তাসনিম জারা

ডঃ তাসনিম জারা এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। বাংলাদেশের এই তরুণী বিশ্ব মঞ্চে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। স্বাস্থ্যসেবা, বিজ্ঞান যোগাযোগ এবং সামাজিক প্রভাব—এই তিনটি ক্ষেত্রেই তিনি একজন অগ্রণী ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তার উত্থান কেবল ব্যক্তিগত সাফল্যের কাহিনী নয়, বরং বাংলাদেশের সক্ষমতারও এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। চিকিৎসাশাস্ত্রের জ্ঞান, উদ্যোক্তা হওয়ার সাহস এবং মানুষের সাথে যোগাযোগের অসাধারণ ক্ষমতা—এই তিনটি গুণ তাসনিম জারার মধ্যে এক বিরল সমন্বয় ঘটিয়েছে।

শৈশব ও শিক্ষা: বাংলাদেশের শিকড়

ঢাকা শহরের আলো-বাতাসে বেড়ে ওঠা তাসনিম জারা ছোটবেলা থেকেই জ্ঞানপিপাসু ছিলেন। বিজ্ঞানের প্রতি তার ছিল গভীর অনুরাগ। ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করার পর তিনি চিকিৎসাশাস্ত্র অধ্যয়নের সিদ্ধান্ত নেন। তার এই সিদ্ধান্তের পেছনে ছিল জীববিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা, যা তাকে চিকিৎসা বিজ্ঞান পড়ার প্রতি আগ্রহী করে তোলে। তাসনিম জারার বাবা-মা সবসময় তার পাশে ছিলেন এবং তার সিদ্ধান্তের উপর পূর্ণ আস্থা রেখেছিলেন।  

ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) পড়ার সময় তাসনিম কেবল একজন মেধাবী ছাত্রীই ছিলেন না, বরং বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমেও তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতেন। তিনি বাংলাদেশ জাতিসংঘ যুব উপদেষ্টা প্যানেলের সভাপতি ছিলেন, যেখানে তিনি জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমকে যুব ও কিশোর-কিশোরীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে পরামর্শ দিতেন। এছাড়াও, তিনি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন এবং বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টারে (বিওয়াইএলসি) তরুণদের নেতৃত্ব বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিতেন। তারুণ্যেই নেতৃত্বের গুণাবলী এবং সমাজের বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা তাসনিম জারার ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের ভিত্তি স্থাপন করে। পরিবারের সমর্থন এবং নিজের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা তাকে জ্ঞানার্জনের পথে সর্বদা উৎসাহিত করেছে।  

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পদার্পণ: যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা ও কর্মজীবন

ঢাকা মেডিকেল কলেজে ইন্টার্নশিপ করার সময় তাসনিম জারা প্রমাণ-ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবার (Evidence-Based Health Care) উপর স্নাতকোত্তর করার জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেন এবং সেখানে ভর্তির সুযোগ পান। প্রমাণ-ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবার প্রতি তার গভীর আগ্রহ ছিল, যার মাধ্যমে অকার্যকর, অপ্রমাণিত এবং ক্ষতিকর চিকিৎসা পদ্ধতির ব্যবহার কমিয়ে অর্থ, সময় ও শ্রমের অপচয় রোধ করা যায়। অক্সফোর্ডে এই বিষয়ে পড়াশোনা তাকে একজন দক্ষ চিকিৎসক হিসেবে আরও প্রস্তুত করে তোলে।  

অক্সফোর্ডে স্নাতকোত্তর পড়াশোনার পাশাপাশি তাসনিম জারা ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসে (এনএইচএস) একজন চিকিৎসক হিসেবেও কাজ শুরু করেন। শুরুতে তিনি জরুরি মেডিসিনের চিকিৎসক হিসেবে দুই বছরেরও বেশি সময় কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি এনএইচএস ইংল্যান্ডে অভ্যন্তরীণ মেডিসিনের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে সিনিয়র ক্লিনিক্যাল সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে শুরু করে অক্সফোর্ড এবং কেমব্রিজের মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে তার এই শিক্ষাজীবন এবং কর্মজীবন অনেক বাংলাদেশী তরুণের জন্য বড় অনুপ্রেরণা।  

মহামারীর যোদ্ধা: সামাজিক মাধ্যমে সচেতনতার আলোকবর্তিকা

কোভিড-১৯ মহামারীর প্রাথমিক পর্যায়ে যখন ভাইরাসটি নিয়ে অনেক কুসংস্কার ও ভয় বিরাজ করছিল, তখন যুক্তরাজ্যে অধ্যয়নরত এই তরুণ বাংলাদেশী চিকিৎসক নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেন। ডঃ তাসনিম জারা সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করে স্বাস্থ্য বিষয়ক নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রচার করতে শুরু করেন। তিনি বাংলায় স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রমাণ-ভিত্তিক ভিডিও তৈরি করতেন। অল্প সময়ের মধ্যেই তার ভিডিওগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে; তার ভিডিও প্রায় অর্ধ বিলিয়ন বার দেখা হয়েছে এবং তিনি ৭০ লক্ষের বেশি অনুসারী লাভ করেন (পরবর্তীতে যা ১০ মিলিয়নে ছাড়িয়ে যায়)।  

তাসনিম জারার এই ব্যতিক্রমী কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ যুক্তরাজ্য সরকার তাকে ‘ভ্যাকসিন লুমিনারি’ খেতাব প্রদান করে। ভ্যাকসিন বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিনের প্রতি আস্থা তৈরি করার জন্য তিনি এই সম্মান অর্জন করেন। জি-৭ গ্লোবাল ভ্যাকসিন কনফিডেন্স সামিটে তিনি একমাত্র বাংলাদেশী হিসেবে এই স্বীকৃতি লাভ করেন। এই সম্মেলনে “দ্য লুমিনারি” শিরোনামে একটি ইন্টারেক্টিভ ফটো মোজাইক প্রদর্শিত হয়, যেখানে বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিন চ্যাম্পিয়নদের ভিডিও এবং ছবি তুলে ধরা হয়।  

বাংলাদেশে যখন ভ্যাকসিন আসে, তখন অনেকেই টিকা নিতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। তাসনিম জারা তখন ভ্যাকসিনের নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রদান এবং এর সাথে জড়িত বিভিন্ন কুসংস্কার দূর করতে এগিয়ে আসেন। তিনি অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন বিজ্ঞানীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে মানুষের কাছে ভ্যাকসিনের নির্ভুল তথ্য পৌঁছে দেন। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানোর জন্য তিনি ব্র্যাক, গ্রামীণফোন এবং টিম হ্যালোর মতো প্রতিষ্ঠানের সাথে কৌশলগত অংশীদারিত্ব তৈরি করেন। এছাড়াও, তিনি ধর্মীয় নেতাদের সাথে কাজ করে ভ্যাকসিন গ্রহণের ধর্মীয় অনুমোদন নিয়ে মানুষের মধ্যে থাকা ভয় দূর করেন। মহামারীর সময়ে সামাজিক মাধ্যমে তার এই সচেতনতামূলক কার্যক্রম তথ্য যোদ্ধা হিসেবে তার পরিচিতি এনে দেয়।  

Shohay Health: স্বাস্থ্যসেবায় প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন

তাসনিম জারা ‘সহায় হেলথ’ নামে একটি স্বাস্থ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উদ্যোগের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। এই স্টার্টআপের লক্ষ্য হলো বাংলায় নির্ভরযোগ্য স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য সহজলভ্য করা। ‘সহায়’ একটি প্ল্যাটফর্ম যা সম্পূর্ণ বাংলায় স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য প্রদান করে। প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনকে উৎসাহিত করাই এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য। ‘সহায়’ প্ল্যাটফর্মে একটি গর্ভধারণ বিষয়ক অ্যাপ এবং একটি বিস্তৃত স্বাস্থ্য বিষয়ক ডিরেক্টরিও রয়েছে। ‘সহায় হেলথ’ স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যা তাসনিম জারার চিকিৎসা জ্ঞান ও যোগাযোগ দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছে।  

মানসিক স্বাস্থ্য ও সামাজিক প্রভাব: স্বাস্থ্য সচেতনতার বাইরেও বিস্তৃত অবদান

তাসনিম জারার অবদান কেবল স্বাস্থ্য সচেতনতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, তিনি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও কাজ করছেন। তার স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ক ভিডিওগুলোতে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ও স্থান পায়। বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে তার পরিবারের সদস্যদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা রয়েছে, যা তাকে এই বিষয়ে আরও গভীরভাবে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করেছে। তিনি গ্রামীণ বাংলাদেশে মহিলাদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক জ্ঞান এবং সেবার উন্নতির জন্য পরিচালিত গবেষণায় অংশগ্রহণ করেছেন। তাসনিম জারা বিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক শিক্ষা প্রদানের পক্ষে জোরালো সমর্থন জানান, যাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহানুভূতি তৈরি হয়।  

সামাজিক এক্টিভিস্ট হিসেবেও তাসনিম জারা বিশেষভাবে পরিচিত, বিশেষ করে বিয়ের সময় প্রচলিত সামাজিক রীতিনীতির বিরুদ্ধে তার দৃঢ় অবস্থানের জন্য। তিনি বিয়ের অনুষ্ঠানে কনের উপর অত্যাধিক সাজার প্রথার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন এবং নিজের বিবাহ সংবর্ধনায় সাধারণভাবে পোশাক পরেছিলেন। তার এই পদক্ষেপ সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয় এবং কনের উপর সমাজের চাপ নিয়ে অনেক প্রশ্ন ওঠে। তিনি তার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নারীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পোশাক পরা এবং সামাজিক প্রত্যাশার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।  

তাসনিম জারা বর্তমানে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। রাজনীতিতে যোগদান করা তার জীবনে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এছাড়াও, তিনি স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারের জন্য একটি ৭-দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন।  

ব্যবসায়িক সাফল্যের পাঠ: তাসনিম জারার কৌশল

তাসনিম জারার যাত্রা একটি চমৎকার ব্যবসায়িক কেস স্টাডি হতে পারে। সামাজিক মাধ্যমকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করে কিভাবে তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া যায় এবং বিশাল সংখ্যক অনুসারী তৈরি করা যায়, তা তিনি দেখিয়েছেন। তিনি স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রমাণ-ভিত্তিক নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রদানের উপর জোর দিয়েছেন। ভ্যাকসিন বিষয়ক সচেতনতা তৈরির জন্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের স্বীকৃতি তিনি পেয়েছেন।  

তাসনিম জারা মানুষের উদ্বেগের বিষয়গুলি চিহ্নিত করতে এবং তাদের ভাষায় (বাংলা) তথ্য সরবরাহ করতে পেরেছেন, যার ফলে তিনি বিপুল সংখ্যক মানুষের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বাংলায় ভিডিও তৈরি করে ভুল তথ্য মোকাবেলা করেছেন। তার তৈরি ভিডিওর গুণমান এবং তথ্যসূত্রের সঠিক ব্যবহারের জন্য অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছে যান। তিনি ভ্যাকসিনের ভয় দূর করতে এবং এর মিথগুলি ভেঙে দিতে সক্ষম হন। ব্র্যাক এবং গ্রামীণফোনের মতো প্রতিষ্ঠানের সাথে তার কৌশলগত অংশীদারিত্ব তাকে আরও বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে। তাসনিম জারার এই সাফল্যের মূল কারণ হলো নির্ভরযোগ্য তথ্যের অভাব পূরণ, সামাজিক মাধ্যমের সঠিক ব্যবহার, প্রমাণ-ভিত্তিক তথ্যের প্রতি তার অঙ্গীকার এবং কৌশলগত সহযোগিতা।  

বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মুখ: আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের সম্মান বৃদ্ধি

তাসনিম জারার অর্জন এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের সম্মান বৃদ্ধি করেছে। জি-৭ সম্মেলনে যুক্তরাজ্য সরকার কর্তৃক ‘ভ্যাকসিন লুমিনারি’ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করায় তিনি বাংলাদেশকে সম্মানিত করেছেন, কারণ তিনি ছিলেন এই স্বীকৃতিপ্রাপ্ত একমাত্র বাংলাদেশী। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে অক্সফোর্ড এবং কেমব্রিজের মতো প্রতিষ্ঠানে তার যাত্রা অনেক বাংলাদেশী তরুণের জন্য অনুপ্রেরণামূলক। তিনি বিবিসি’র “পিপল ফিক্সিং দ্য ওয়ার্ল্ড” অনুষ্ঠানে ভুয়া স্বাস্থ্য বিষয়ক সংবাদের বিরুদ্ধে তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।  

তার সাফল্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশী পেশাদারদের প্রতিভা এবং সম্ভাবনাকে তুলে ধরে। তাসনিম জারার মতো অনেকেই বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখছেন। তার এই স্বীকৃতি কেবল ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং একটি জাতি হিসেবে বাংলাদেশের সক্ষমতারও প্রমাণ। তার গল্প নতুন প্রজন্মকে তাদের স্বপ্ন পূরণে এবং দেশের সুনাম বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করতে পারে।  

অনুপ্রেরণার উৎস

তাসনিম জারার ব্যতিক্রমী যাত্রা ঢাকা থেকে শুরু হয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিস্তৃত হয়েছে। তিনি কেবল একজন সফল স্বাস্থ্যসেবাকর্মী বা বিজ্ঞান যোগাযোগকারী নন, বরং একজন সামাজিক কর্মী এবং সমাজের প্রথা ভাঙতে সাহসী। মহামারীকালে এবং ‘সহায় হেলথ’-এর মাধ্যমে তার অবদান অনস্বীকার্য। তিনি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যিনি প্রমাণ করেছেন যে একাগ্রতা, প্রতিভা এবং সমাজের জন্য কিছু করার প্রবল ইচ্ছা থাকলে বাংলাদেশ থেকেও বিশ্বমানের সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। তাসনিম জারা আগামী প্রজন্মের জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular