২১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পাসের হার—মাত্র ৫৭.১২ শতাংশ। এইচএসসি পরীক্ষার এবারের ফলাফল শুধু একটি পরিসংখ্যান নয়, এটি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার গভীর সংকটের এক নির্মম প্রতিচ্ছবি। শিক্ষা উপদেষ্টা সঠিকভাবেই বলেছেন, “আমরা অজান্তেই শেখার প্রকৃত সংকট আড়াল করেছি।” এখন প্রশ্ন হলো—এই সংকট থেকে উত্তরণের পথ কী?
আমরা দীর্ঘদিন ধরে সংখ্যাকেন্দ্রিক একটি সংস্কৃতি গড়ে তুলেছি, যেখানে পাসের হার ও জিপিএ-৫ই সাফল্যের একমাত্র মাপকাঠি হয়ে উঠেছিল। এই মানসিকতা থেকে বের হয়ে প্রকৃত শিক্ষার মান নিশ্চিত করাই এখন আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ।
সংকটের শেকড়: কোথায় সমস্যার শুরু?
প্রাথমিক স্তর থেকেই জমতে থাকা ঘাটতি
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, শেখার ঘাটতি তৈরি হয় একেবারে শুরু থেকেই। প্রাথমিক স্তরে যে শিশু ভালোভাবে পড়তে বা লিখতে শেখে না, সে ঘাটতি বয়ে নিয়ে যায় মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত। বছরের পর বছর এই ঘাটতি জমা হতে থাকে, কিন্তু আমরা তা দেখতে চাইনি।
মূল্যায়ন ও প্রকৃত শেখার মধ্যে বিশাল ফাঁক তৈরি হয়েছে। পরীক্ষায় পাস করা আর বিষয়বস্তু সত্যিকার অর্থে বোঝা—এ দুটো এক হয়ে যায়নি।
ব্যবস্থাগত সমস্যাগুলো
এবারের ফলাফল কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার দিকে আঙুল তুলেছে:
গ্রাম-শহরের বিশাল ব্যবধান: শহুরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গ্রামীণ প্রতিষ্ঠানের ফলাফলে আকাশ-পাতাল তফাত। সম্পদ, শিক্ষকের মান, অবকাঠামো—সব ক্ষেত্রেই গ্রামীণ এলাকা পিছিয়ে।
নির্দিষ্ট বিষয়ে ব্যাপক ব্যর্থতা: ইংরেজি ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ে শিক্ষার্থীরা তুলনামূলকভাবে বেশি অকৃতকার্য হয়েছেন। এটি শুধু ছাত্রছাত্রীদের দুর্বলতা নয়, এসব বিষয়ে শিক্ষাদান পদ্ধতিতেও মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের মান নিয়ে উদ্বেগ: শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠান ১,৩৮৮ থেকে কমে ৩৪৫-এ নেমে এসেছে। অন্যদিকে, শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০২-এ, যা আগে ছিল মাত্র ৬৫টি। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে কী হচ্ছে? শিক্ষকরা কি পড়াচ্ছেন? শিক্ষার্থীরা কি উপস্থিত থাকছে? এসব প্রশ্নের জবাব খুঁজতেই হবে।
মূল্যায়ন সংস্কৃতির সমস্যা
দীর্ঘদিন ধরে আমরা এমন একটি সংস্কৃতি তৈরি করেছি যেখানে:
- পাসের হার বৃদ্ধিই প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে
- “ওভারমার্কিং” বা প্রাপ্যের চেয়ে বেশি নম্বর দেওয়ার অনানুষ্ঠানিক চাপ থাকে
- জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বাড়ানোই সাফল্য হিসেবে দেখা হয়
- প্রকৃত দক্ষতা নয়, পরিসংখ্যানই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে
জরুরি পদক্ষেপ: এখনই যা করতে হবে
মূল্যায়ন পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা
এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বোর্ড সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে—উত্তরপত্র মূল্যায়নে যথাযথ নিয়ম অনুসরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই নীতি অব্যাহত রাখতে হবে। একই সঙ্গে:
- পরীক্ষকদের জন্য স্পষ্ট, মানসম্মত মূল্যায়ন নির্দেশিকা তৈরি
- পরীক্ষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও ফলোআপ
- স্বাভাবিক ও ন্যায্য মূল্যায়নের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা
- উত্তরপত্র মূল্যায়নে পর্যাপ্ত সময় নিশ্চিত করা
দুর্বল বিষয়ে বিশেষ নজর
ইংরেজি শিক্ষায় জোর দিতে হবে: ইংরেজিতে ব্যর্থতার হার বেশি। এর কারণ—প্রাথমিক স্তর থেকেই ইংরেজিতে দুর্বল ভিত্তি। দরকার:
- কার্যকর ইংরেজি শেখানোর আধুনিক পদ্ধতি
- শুধু ব্যাকরণ নয়, ব্যবহারিক ইংরেজিতে জোর
- শ্রেণিকক্ষে ইংরেজি চর্চার পরিবেশ
- শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির বিশেষ কর্মসূচি
আইসিটি শিক্ষার উন্নয়ন: তথ্যপ্রযুক্তি এখন অপরিহার্য দক্ষতা। কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার নেই, ইন্টারনেট নেই, প্রশিক্ষিত শিক্ষক নেই। চাই:
- সব প্রতিষ্ঠানে আইসিটি ল্যাব স্থাপন
- হ্যান্ডস-ওন প্র্যাকটিসের সুযোগ
- আইসিটি শিক্ষকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি
দুর্বল প্রতিষ্ঠানগুলোতে জরুরি সহায়তা
যে ২০২টি প্রতিষ্ঠানে একজনও পাস করেনি, তাদের জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ:
- প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও সমস্যা চিহ্নিতকরণ
- অভিজ্ঞ শিক্ষক প্রেরণ বা বদলি
- সম্পদ বরাদ্দ ও অবকাঠামো উন্নয়ন
- সফল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জোড়া বেঁধে দিয়ে সহায়তা
মধ্যমেয়াদি কাঠামোগত সংস্কার
প্রাথমিক স্তরে হস্তক্ষেপ
সমস্যার শুরু যেহেতু প্রাথমিক স্তরে, সেখান থেকেই শুরু করতে হবে সমাধান:
মৌলিক দক্ষতায় জোর: প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত নিশ্চিত করতে হবে প্রতিটি শিশু ঠিকমতো পড়তে, লিখতে ও গণিত করতে পারছে। এই তিনটি মৌলিক দক্ষতা ছাড়া পরবর্তী শ্রেণিতে এগোনো উচিত নয়।
নিয়মিত মূল্যায়ন: বছর শেষে একটি পরীক্ষা নয়, বছরজুড়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন প্রয়োজন। শিক্ষার্থী কোথায় দুর্বল, তা শুরুতেই শনাক্ত করে প্রতিকার করতে হবে।
অভিভাবক সম্পৃক্তকরণ: শুধু স্কুল নয়, পরিবারও শিক্ষার অংশীদার। অভিভাবকদের সচেতন করতে হবে কীভাবে তারা সন্তানের শেখায় সহায়তা করতে পারেন।
মাধ্যমিক স্তরে উন্নতি
ব্রিজ কোর্স: এসএসসি পাসের পর সরাসরি এইচএসসিতে ঢুকলে অনেক শিক্ষার্থী খাপ খাইয়ে উঠতে পারে না। দরকার সংক্ষিপ্ত ব্রিজ কোর্স যা আগের শেখার ঘাটতি পূরণ করবে।
মুখস্থবিদ্যা থেকে বোঝার শিক্ষায়: আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় মুখস্থবিদ্যার প্রাধান্য অনেক বেশি। এর পরিবর্তে ধারণা বোঝা, সমস্যা সমাধান, বিশ্লেষণমূলক চিন্তায় জোর দিতে হবে।
ব্যক্তিগত মনোযোগ: প্রতিটি শিক্ষার্থী একইভাবে শেখে না। কেউ দ্রুত বোঝে, কেউ সময় নেয়। দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত সহায়তার ব্যবস্থা থাকতে হবে।
শিক্ষক উন্নয়ন
শিক্ষকই শিক্ষাব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি। তাদের মান উন্নয়ন ছাড়া শিক্ষার মান বাড়ানো অসম্ভব:
- আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতিতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ
- বিষয়ভিত্তিক গভীর জ্ঞান বৃদ্ধির সুযোগ
- শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থাপনা দক্ষতা
- ভালো শিক্ষকদের জন্য প্রণোদনা ও স্বীকৃতি
দীর্ঘমেয়াদি রূপান্তর: নতুন শিক্ষাব্যবস্থা গড়া
পাঠ্যক্রম পুনর্বিন্যাস
দক্ষতাভিত্তিক পাঠ্যক্রম: বিষয়বস্তু কমিয়ে দক্ষতা বাড়াতে হবে। শিক্ষার্থী কতটা তথ্য মুখস্থ করল তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সে কী করতে পারল।
একবিংশ শতাব্দীর দক্ষতা: সমালোচনামূলক চিন্তা, সৃজনশীলতা, যোগাযোগ, সহযোগিতা, ডিজিটাল সাক্ষরতা—এসব দক্ষতা পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ব্যবহারিক প্রয়োগ: শুধু তত্ত্ব নয়, বাস্তব জীবনে কীভাবে ব্যবহার করা যায় তা শেখাতে হবে।
পরীক্ষা নির্ভরতা কমানো: শুধু চূড়ান্ত পরীক্ষা নয়, ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর প্রকৃত শেখা যাচাই করতে হবে।
অবকাঠামো উন্নয়ন
গ্রাম-শহর বৈষম্য দূরীকরণ: প্রযুক্তির মাধ্যমে দূরত্ব কমাতে হবে। মানসম্পন্ন শিক্ষা উপকরণ সবার জন্য সহজলভ্য করতে হবে।
ল্যাবরেটরি ও ব্যবহারিক সুবিধা: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার জন্য পর্যাপ্ত ল্যাব সুবিধা অপরিহার্য।
ডিজিটাল শিক্ষা সম্পদ: অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম, ডিজিটাল লাইব্রেরি, ই-বুক—এসব সম্পদে সবার প্রবেশাধিকার থাকতে হবে।
সাফল্যের সূচক পরিবর্তন
এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক পরিবর্তন:
পাসের হার নয়, শেখার ফলাফল: আমরা আর পরিসংখ্যান দিয়ে সাফল্য মাপব না। পরিবর্তে দেখব, শিক্ষার্থীরা কী শিখল, কী করতে পারল।
সামগ্রিক উন্নয়ন: শুধু পড়াশোনা নয়, শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্য, সৃজনশীলতা, নৈতিকতা, সামাজিক দায়বদ্ধতা—সব দিক বিবেচনা করতে হবে।
বহুমুখী মেধার স্বীকৃতি: সবাই একইভাবে মেধাবী নয়। কেউ গণিতে পারদর্শী, কেউ শিল্পে, কেউ খেলাধুলায়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সমান মর্যাদা থাকা উচিত।
কারিগরি শিক্ষায় মর্যাদা: সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হবে, এই ধারণা ভুল। দক্ষ কারিগরি জনশক্তির সম্মান ও মূল্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সবার দায়িত্ব, সবার অংশগ্রহণ
শিক্ষা বোর্ডের দায়িত্ব
- স্বচ্ছ ও ন্যায্য মূল্যায়ন ব্যবস্থা
- নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও মান নিয়ন্ত্রণ
- তথ্যনির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণ
- প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয়
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব
- মানসম্পন্ন শিক্ষা ও শেখার পরিবেশ
- শিক্ষার্থীদের নিয়মিত অগ্রগতি পরিবীক্ষণ
- অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা
- শিক্ষাদানে নতুন পদ্ধতি অবলম্বন
সরকার ও মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব
- পর্যাপ্ত সম্পদ বরাদ্দ
- সুদীর্ঘমেয়াদি নীতি ও দৃষ্টিভঙ্গি
- শিক্ষকদের কল্যাণ ও পেশাগত উন্নয়ন
- অবকাঠামো উন্নয়ন
অভিভাবক ও সমাজের দায়িত্ব
- বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা নির্ধারণ
- সন্তানের শেখার যাত্রায় সহায়তা
- স্কুলের সঙ্গে সক্রিয় সম্পৃক্ততা
- ব্যর্থতাকে শেখার সুযোগ হিসেবে দেখা
সংকট থেকে সুযোগ: এগিয়ে যাওয়ার পথ
সত্যের মুখোমুখি দাঁড়ানো
শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান যথার্থই বলেছেন, “আমরা একটা আয়নার সামনে দাঁড়িয়েছি।” এই আয়না আমাদের দেখাচ্ছে গলদ আছে, অবশ্যই আছে। কিন্তু গলদ দেখার সাহস থাকলে তা সারানোর পথও খুঁজে পাওয়া যায়।
- তথ্যের স্বচ্ছতা ও জনসাধারণের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা
- গবেষণাভিত্তিক নীতি প্রণয়ন
- ভুল স্বীকার ও সংশোধনের মানসিকতা
আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা
বিশ্বের অনেক দেশ শিক্ষায় সফল হয়েছে। ফিনল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া—তাদের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে হবে। তবে অন্ধভাবে অনুকরণ নয়, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উপযোগী করে নিতে হবে।
সংকটকে সংস্কারের সুযোগ হিসেবে নেওয়া
এবারের খারাপ ফলাফল আসলে একটি সুযোগ—প্রকৃত সংস্কারের সুযোগ। যখন সবাই সমস্যা দেখতে পাচ্ছে, তখনই পরিবর্তনের জন্য ঐকমত্য তৈরি হয়। এই মুহূর্তটি কাজে লাগাতে হবে:
- পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নযোগ্য পরিকল্পনা
- স্পষ্ট লক্ষ্য ও মাইলফলক নির্ধারণ
- নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন
নতুন শুরুর ডাক
এবারের এইচএসসির ফলাফল হতাশাজনক, কিন্তু এটি শেষ কথা নয়, বরং নতুন শুরুর আহ্বান। এটি আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে যে শিক্ষার মান উন্নয়নে আমাদের আরও অনেক পথ যেতে হবে।
আমরা আর সংখ্যার খেলায় মেতে থাকতে পারি না। প্রকৃত শেখাটাই গুরুত্বপূর্ণ—পাসের হার নয়, শিক্ষার্থীরা কী শিখল, কী করতে পারল, তারা কতটা প্রস্তুত ভবিষ্যতের জন্য—এটাই আসল প্রশ্ন।
এই রূপান্তর একদিনে হবে না। এর জন্য দরকার সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা—সরকার, শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, অভিভাবক, সমাজ—সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।
যেমনটা শিক্ষা উপদেষ্টা বলেছেন, “আজ আমি সেই সংস্কৃতির পরিবর্তন চাই।” হ্যাঁ, আমাদের সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে হবে। পরিসংখ্যানের সংস্কৃতি থেকে শেখার সংস্কৃতিতে যেতে হবে। সংখ্যার ম্যাজিক থেকে বের হয়ে বাস্তবতার মাটিতে দাঁড়াতে হবে।
আজকের সৎ মূল্যায়ন আগামীর প্রকৃত সাফল্যের পথ দেখাবে। যে গলদগুলো দেখা যাচ্ছে, সেগুলো ঠিক করার এখনই সময়। আয়নায় নিজেকে দেখার সাহস যদি থাকে, তাহলে নিজেকে বদলানোর শক্তিও আসবে।
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার রূপান্তর সম্ভব। আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রতিভা ও সম্ভাবনা অসীম। শুধু দরকার সঠিক দিকনির্দেশনা, উপযুক্ত সহায়তা, এবং প্রকৃত শেখার পরিবেশ।