বুধবার, আগস্ট ২০, ২০২৫
HomeInspirationYouth Achievere-ICON World Contest 2025: প্রথম হলো বাংলাদেশের রায়েন ও অনম

e-ICON World Contest 2025: প্রথম হলো বাংলাদেশের রায়েন ও অনম

বাংলাদেশ আবারও বিশ্বমঞ্চে গর্বের নতুন ইতিহাস গড়ল। দক্ষিণ কোরিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং KEFA (Korea Digital Education Frontiers Association) আয়োজিত মর্যাদাপূর্ণ ১৫তম e-ICON World Contest-এ বাংলাদেশের দুই শিক্ষার্থী প্রথম স্থান অর্জন করেছে।

ঢাকার সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র রায়েন আর রাদ এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী আওসাফ জামান অনম ৮ আগস্ট তাদের উদ্ভাবনী প্রজেক্টের জন্য কোরিয়ার শিক্ষামন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।

প্রতিযোগিতার থিম ও বাংলাদেশের প্রজেক্ট

এ বছরের প্রতিযোগিতার মূল বিষয় ছিল—SDG 13: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা
বাংলাদেশি দল তৈরি করে ClimaCore নামে একটি স্মার্ট অ্যাপ, যা জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সুরক্ষায় সচেতনতা বাড়ানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

  • আওসাফ জামান অনম ছিলেন গ্লোবাল টিম লিডার ও পরিকল্পনাকারী।
  • রায়েন আর রাদ ছিলেন মূল ডেভেলপার।
  • তাদের পরামর্শক হিসেবে ছিলেন সেন্ট যোসেফ স্কুলের শিক্ষক মো. নাহিয়ান হোসাইন

তাদের নেতৃত্ব, সৃজনশীল চিন্তাভাবনা এবং টিমওয়ার্কের ফলেই বাংলাদেশ জিতে নেয় চ্যাম্পিয়নশিপ।

প্রতিযোগিতার ধাপ ও সাফল্যের পথচলা

  • প্রথম ধাপ (৩০ মে): ৩৭টি দেশের ১৬১টি প্রজেক্টের মধ্যে ClimaCore প্রস্তাব জমা দিয়ে শীর্ষ ১৫-তে জায়গা করে নেয়।

  • দ্বিতীয় ধাপ: কোরিয়ান টিমের সঙ্গে অনলাইনে তিন সপ্তাহ কাজ করে প্রজেক্টটি আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করে তোলা হয়।

  • চূড়ান্ত ধাপ: দক্ষিণ কোরিয়ায় পোস্টার প্রদর্শনী ও লাইভ প্রেজেন্টেশনে অংশ নেয় বাংলাদেশি দল। সেখানেই আন্তর্জাতিক বিচারক ও বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ প্রশংসা কুড়িয়ে নেয় তারা।

আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের প্রশংসা

KAIST-এর অধ্যাপক ড. সানঘে লি বলেন:

“এই প্রজেক্ট তরুণদের মধ্যে জলবায়ু সংকট মোকাবিলার সচেতনতা তৈরি করবে। বাংলাদেশের এই অর্জন অনন্য এবং ভবিষ্যতের জন্য অনুপ্রেরণামূলক।”

KEFA প্রোগ্রাম ম্যানেজার সো-হি লি বলেন:

“প্রতিবারের মতো বাংলাদেশ আবারও অসাধারণ সাফল্য দেখাল। আপনারা যেভাবে প্রেজেন্টেশন সাজিয়েছেন তা অন্য দলগুলোর তুলনায় অনেক বেশি সংগঠিত ও স্পষ্ট।”

বিজয়ীদের অনুভূতি

আওসাফ জামান অনম বলেন:

“আমাদের জন্য কাজটা শুধু টেকনিক্যাল প্রজেক্ট ছিল না, বরং মানুষের জীবনে বাস্তব প্রভাব রাখার একটি প্রচেষ্টা। তাই প্রতিটি ধাপে আমরা সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।”

রায়েন আর রাদ বলেন:

“অনলাইনে কাজ করার সময় নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি, কিন্তু টিমওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা জয়ী হয়েছি। আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা আমার জীবনের সবচেয়ে গর্বের মুহূর্ত।”

জাতীয় গর্বের মুহূর্ত

রায়েন আর রাদ ও আওসাফ জামান অনম প্রমাণ করেছেন, প্রতিভা ও কঠোর পরিশ্রম থাকলে বাংলাদেশের তরুণরাই বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারে। জাতীয় পতাকা হাতে তাদের এই অর্জন শুধু প্রতিযোগিতা জয় নয়—এটি বাংলাদেশের জন্য এক অনন্য সম্মানের মুহূর্ত।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular