একটা সময় ছিল, যখন বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাত মানেই শুধু আউটসোর্সিং বা লোকাল সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট। কিন্তু আজ? বাংলাদেশের মেধা বিশ্বজয় করছে। আর এই বদলে যাওয়ার গল্পের এক অনুপ্রেরণামূলক নাম—AIT, যা আগে পরিচিত ছিল Astha IT (আস্থা আইটি) নামে।
২০২৪ সালে AIT শুধু নাম বদলায়নি, বদলেছে দৃষ্টিভঙ্গি, আত্মবিশ্বাস, এবং নিজেদের অবস্থান। এখন তারা নিউইয়র্ক শহরে খুলে ফেলেছে তাদের প্রথম আন্তর্জাতিক সদর দপ্তর। ভাবুন তো, এক সময় ঢাকার একটি টিমের হাত ধরে যাত্রা শুরু করা কোম্পানি এখন দাঁড়িয়ে আছে বিশ্বের প্রযুক্তির রাজধানীতে—গ্লোবাল লিডার হওয়ার দাপট নিয়ে।
একটি নতুন পরিচয়, একটি নতুন দিগন্ত
“Astha IT”-এর সেই চেনা লোগো, যে লোগোর সাথে জড়িয়ে আছে বহু রাত জেগে কোড লেখা, ক্লায়েন্ট মিটিংয়ের উত্তেজনা, আর প্রতিটা সফল প্রজেক্টের স্মৃতি—তা আজ একটি আধুনিক, গ্লোবাল রিব্র্যান্ডে রূপ পেয়েছে। নতুন নাম AIT, নতুন ওয়েবসাইট ait.inc আর নতুন লক্ষ্য—বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের টেক সামর্থ্য তুলে ধরা।
কোম্পানির CEO হাসনাইন রিজভি রহমান বলেন—
“এটা শুধু লোগো বদল নয়। এটা সেই প্রতীক, যা বলছে—আমরা কোথা থেকে এসেছি, আর কোথায় যাচ্ছি।”
১৬ বছরের গল্প, নতুন মাত্রা
২০০৮ সালে বাংলাদেশের টেক ইন্ডাস্ট্রির শুরুর দিকে জন্ম নিয়েছিল Astha IT। সেই শুরুটা ছিল নিরবে, কিন্তু প্রত্যয়ে ভরপুর। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা শুধু ক্লায়েন্টের প্রজেক্ট ডেলিভারি করেনি, বরং গড়ে তুলেছে বিশ্বাস, প্রযুক্তি দক্ষতা, এবং ভবিষ্যতের প্রস্তুতি।
আজ AIT কাজ করছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ক্লাউড কম্পিউটিং, ডেটা সায়েন্স এবং হাই-এন্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। আর শুধু বাংলাদেশ নয়—তারা কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া সহ বহু আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টের সাথে।
নিউইয়র্কে অফিস? হ্যাঁ, বাংলাদেশ এখন বৈশ্বিক খেলোয়াড়
নিউইয়র্কে AIT-এর অফিস চালু হওয়া শুধু একটুকরো ঠিকানা নয়, বরং এটি একটি প্রতীক—যে প্রতীক বলে, বাংলাদেশের কোম্পানিও আজ গ্লোবাল হতে পারে, লিড করতে পারে, ইনোভেট করতে পারে।
COO আরাফাত নিজাম বলেন—
“এটা আমাদের রিব্র্যান্ডিং না, এটা আমাদের ভবিষ্যতের সাথে মানিয়ে নেওয়া। আমরা গ্লোবাল দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছি, কিন্তু মাটি ছুঁয়ে আছি বাংলার শিকড়ে।”
এই গল্পটা শুধু AIT-এর না—এটা পুরো বাংলাদেশের
AIT প্রমাণ করেছে, একটা দেশ যদি মেধা, সাহস আর প্রযুক্তিকে কাজে লাগায়—তাহলে তার সীমা থাকে না। তারা দেখিয়েছে, শুধু কনট্রাক্ট কাজ নয়, বাংলাদেশ এখন প্রোডাক্ট লিডার, উদ্ভাবক এবং বৈশ্বিক ট্রেন্ডসেটার হিসেবেও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে।
এটা সেই গল্প, যেটা SpikeStory বারবার বলতে চায়—বাংলাদেশ উঠে দাঁড়াচ্ছে। সাহস নিয়ে, স্কিল নিয়ে, এবং নিজস্ব পরিচয় নিয়ে।
এখন সময় বাংলাদেশের—AIT আমাদের আরেকটা প্রমাণ।
এই মুহূর্তে যদি আপনি একজন তরুণ উদ্যোক্তা হন, একজন ডেভেলপার, একজন ডিজিটাল ড্রিমার—তাহলে এই গল্প আপনার জন্য।
AIT আমাদের শেখায়—”শুরুটা ছোট হতেই পারে, কিন্তু স্বপ্নটা হোক গ্লোবাল।”